দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। সব বাঙালির কাছে এই উৎসব চিরায়ত ঐতিহ্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এক অনুপম প্রীতিময় আনন্দ উৎসব। অতীত থেকেই দুর্গাপূজা উৎসবাকারে পালিত হয়ে আসছে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ। যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই ভূমিতে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারেন। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা পবিত্র সংবিধানে ‘ধর্ম নিরপেক্ষতাকে অতীব গুরুত্বসহ সন্নিবেশিত করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’।
যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো অঘটন যাতে না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাণিত সম্প্রীতি বাংলাদেশ। কেবল সরকার, প্রশাসন বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নয়, এগিয়ে আসতে হবে শুভবোধ সম্পন্ন বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকল নাগরিককে।
নিজ নিজ এলাকায় গড়ে তুলতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত সাধারণ জনগণের সবল ঐক্য। ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে আধুনিক মনস্ক সংস্কারমুক্ত তরুণ যুবকের। মনে রাখতে হবে অসাম্প্রায়িক ভাবমূর্তি বিনষ্ট হলে বিশ্বমাঝে সকল অর্জন ধূলিসাৎ হবে। আসন্ন দুর্গোৎসবে যেনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।