মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র শুভ জন্মদিন আজ!

ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহানবী হযরত  মুহাম্মদ (সা)ঃ’র শুভ জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষ্যে আনন্দ উৎসব করার নামই হচ্ছে ঈদে মিলাদুনবী।এই বিষয়টি ভালোভাবে না বুঝে শুনে এক শ্রেনী উগ্রবাদীরা অতি উৎসাহে অযথাই লাফাতে থাকে,কেউ কেউ দলবেঁধে হোন্ডা বা গাড়ি দিয়ে ঘুরে বেড়ায়,লাফালাফিও করে- শ্লোগানও দেয় “ঈদে মিলাদুন নবী- জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ” এসব ফাল্তুমি বাদ দিয়ে মার্জিতভাবে নামাজ- রোজা,দোয়া-কালাম পড়া এবং তৃপ্তি ও আনন্দের সাথে খাওয়া-দাওয়া করাই শ্রেয়।মহানবী বিশ্বনবী শ্রেষ্ঠ নবীর শুভ জন্মদিন বলে কথা।যাহোক আমাদের মহানবী প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র  ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল আরবের মক্কা নগরীর কোরাইশ বংশের প্রখ্যাত ব্যাভিচারী ব্যক্তি আবু লাহাবের ভাই আবদুল্লার স্ত্রী আমেনার গর্ভে বিশ্ব আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক এই মহান নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। প্রকৃতিও যেনো সেদিন  এক অলৌকিক অপরুপ মহিমায় রুপ নিয়ে ছিলো।তিনি শুধু ইসলাম ধর্মের প্রবর্তকই নন,তিনি আমাদের বিশ্ব নবী- মহানবী,শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।এজন্যই তিনি বিশ্বনবী-কেয়ামতের ময়দানে শেষ বিচারের দিনে গোটা পৃথিবীর মানুষদের যারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন,নবীজীর সেইসব উম্মোতদের সাফায়াত করার অধিকার দিয়েছেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা মহান  আল্লাহতাওলা,যে অধিকার অন্য কোন নবী বা রুসুলকে দেয়া হয়নি। এজন্যই তিনি মহানবী সমগ্র বিশ্বের মানব জাতিকে মহান আদর্শে হেদায়েত করার জন্যে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা তাঁকে পাঠিয়েছেন। এমন  মতুর্বা যা অন্য কোন নবী বা রুসুলকে পাঠাননি। আর এই জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ এবং শেষ নবী ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে মানব কল্যাণে যা কিছু মহান,তাই তিনি দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন তাঁর বিদায় ভষণে।সর্বোপরি শ্রেষ্ঠত্বের আরেক নিদর্শন হলো মহান আল্লাহর বানী ছাড়া তিনি নিজের কোন বানী প্রতিষ্ঠা করে যাননি।তাছাড়া মহান শ্রষ্ঠা নিজেই উল্লেখ করেছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)’র পর আর কোন নবী বা রুসুল পৃথিবীতে আবির্ভূত হবেন না।  কথিত আছে যার জন্ম না হলে চন্দ্র সূর্য আকাশ বাতাস পৃথিবী কিছুই সৃষ্টি হতোনা।তাছাড়া প্রচলিত প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থেও উল্লেখ রয়েছে বলে জানা যায়,তিনিই বিশ্ব নবী,তিনিই মহানবী এবং তিনিই শেষ এবং শ্রেষ্ঠ নবী।তাই এই দিনে বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিশেষভাবে খুশিমনে আনন্দ উল্লাস করেন এবং উন্নতমানের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেন ও নামাজ রোজা পালন করেন।কোথাও কোথাও এও উল্লেখ রয়েছে মহানবী (সাঃ)’র জন্মের দিনটি যেহেতু ছিলো সোমবার সেহেতু  নবীজির জীবদ্দশায় তিনিও প্রতি সোমবার রোজা রাখতেন।পৃথিবীর আলোক বর্তিকা এই মহানবী-বিশ্বনবীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় এই রবিউল আউয়াল পুরো মাসটি জুড়েই গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে নফল নামাজ ও দরুত পাঠ করে থাকেন এবং নবীজির উম্মত হিসেবে সবাই মহান সৃষ্টিকর্তা- আল্লাহ তাওলার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকেন এই মর্মে যে, মহান আল্লাহ পৃথিবীতে  মানব কল্যাণে একজন মহামানব পাঠিয়েছেন, যে গুণাবলি ও অধিকার দিয়ে অন্য কোন নবী বা রাসুলকে পাঠান নি। তাইতো তিনি আমাদের মহানবী-শ্রেষ্ঠ নবী শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে নবিজীর আদর্শ মেনে জীবন-যাপন করার তৌফিক দান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *