“স্বাগতম হে মা দেবী লক্ষী”
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আজ কোজাগরী লক্ষীপূজা। বিশেষ করে বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রাচীনকাল থেকেই মা দেবী লক্ষীর এই পূজা করে আসছেন।এটি সাধারণত কার্তিক মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার বাঙালী হিন্দু গৃহীনিরা উপবাস ব্রত পালন করে। ঘর বাড়ীর আঙ্গিনায় আলপনা একে সান্ধ্য আরতীর মাধ্যমে মা দেবী লক্ষী পূজা- অর্চনায় নিশি পোহাতেন যুগ যুগ ধরে। তাদের বিশ্বাস বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দেবী দূর্গার কৈলাশ প্রত্যাবর্তনের পর রয়ে যান তার কন্যা দেবী লক্ষী। তাই শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে প্রথম পূর্নিমা রাতেই দেবী লক্ষীর আরাধনা করা হয়।সে হিসেবেই আজ রবিবার সেই কোজাগরী পূর্নিমা রাত অর্থাৎ পূর্ণিমা তিথি। তাই এবার এই রাতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পূজিত হবেন মা লক্ষী। ঢাকা মহানগরীর অনেক মন্দিরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে ধুমধামে চলছে লক্ষী পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি। তাদের বিশ্বাস ভক্তদের ডাকে সাড়া দিয়ে ধনসম্পদ আলো,জ্ঞান, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক দেবী লক্ষী সপ্তম আকাশ আলোকিত করে মর্ত্যে নেমে আসেন পূজারীদের ধনধান্য,সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যে ভরে দিতে।তাই তিনি কীভাবে উত্তম পূজায় পূজিতদ হবেন সেই ভাবনায়- সেই চেষ্টায় ভক্তরা সবাই অস্থির-ব্যস্ত।পাক-পবিত্র হয়ে ঘরে-বাইরে আলপনা এঁকে সান্ধ্য প্রদীপ জ্বেলে পদ্মা- গঙ্গার জল ছিটিয়ে লক্ষীদেবীকে ফুলমাল্য দিয়ে সাজিয়ে সম্মুখে ফুল,ফল, সাক-শবজি বেলপাতা,তুলসী ও নারু-মিষ্টির ডালা পেতে দেবী বরনে অপেক্ষমান সবাই।পূজিতা হয়ে সন্তুষ্টি লাভে দান করে যাবেন ধন-সম্পদ,জ্ঞান,সৌন্দর্য ও সৌভাগ্য।