টুইটার কিনেই স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত, এবার বোর্ডই তুলে দিলেন ইলন মাস্ক!

নানা নাটকীয়তার পর মাইক্রোব্লগিং সাইট ‘টুইটার’ কিনে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠাতা টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। প্রস্তাবিত ৪৪ বিলিয়ন ডলারেই টুইটার কিনে নেন তিনি।

এদিকে, টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন হতেই প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন ইলন মাস্ক। টুইটার সিইও পরাগ আগারওয়াল, চিফ ফাইন্যানসিয়াল অফিসার নেড সেয়গাল, সিএফও এবং আইন বিভাগের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে চাকরিচ্যূত করেন তিনি।এখানেই শেষ নয়, টুইটার নিয়ে আরও স্বৈরাচারী আচরণ প্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক। এবার টুইটারের পরিচালক বোর্ডও তুলে দিলেন নতুন মালিক মাস্ক। বোর্ডের সমস্ত কর্মকর্তাকে তিনি ছাঁটাই করে দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে। এখন থেকে নাকি তিনি একাই টুইটার বোর্ডের সব দায়িত্ব সামলাবেন।

মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকেই অনেকে দাবি করেছিলেন, তিনি গণছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছেন। টুইটারের অন্তত ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ১ নভেম্বর থেকেই তিনি ছাঁটাই করতে চলেছেন বলে খবর রটেছিল। এমনকি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ-ও দাবি করা হয়েছিল, ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরুর জন্য কর্মীদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম এই ধনী ব্যক্তি। কিন্তু সম্প্রতি এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক নিজেই। তবে তারপরই জানা গেল, টুইটারের পরিচালন বোর্ড তিনি উঠিয়ে দিয়েছেন।

টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকেই একের পর এক চমক দিচ্ছেন মাস্ক। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে তিনি শুরুতেই ছাঁটাই করেন। সম্প্রতি টুইটারের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া বা ব্লু টিক অর্জনের প্রক্রিয়ায় বদল আসতে চলেছে বলেও তিনি নিজেই জানান।

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি, এবার থেকে যারা টুইটারের ‘ব্লু মেম্বার’ অর্থাৎ যাদের টুইটারের সাবস্ক্রিপশন রয়েছে, তাদের মধ্যেই ‘ব্লু টিক’ সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এই সাবস্ক্রিপশনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। সেই খরচও বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

জানা গেছে, সাবস্ক্রিপশনের খরচ বেড়ে হবে ১৯.৯৯ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০২৫ টাকা। এই টাকা না দিলে যাদের ইতোমধ্যে ব্লু টিক রয়েছে, তারাও তা হারাতে পারেন।

যদিও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ঠিক কী কী বদল আনা হচ্ছে তা স্পষ্ট করে জানাননি মাস্ক। তবে তিনি টুইটারের বোর্ড কর্তাদের ছাঁটাই করে কর্মীদের বার্তা দিতে চাইলেন, মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *